ইন্টারনেট রচনা। ক্লাস 6-12। (১০০% কমন)
আজকে আমরা আলোচনা করব ইন্টারনেট রচনা নিয়ে। ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইন্টারনেটের সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি।
ইন্টারনেট রচনা
ভূমিকা
বিজ্ঞান মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাধারা, স্বপ্ন ও কল্পনার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বর্বর জীবনকে পশ্চাতে ফেলে বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজ সভ্যতার আলোকে আলোকিত ও সম্পদশালী । তিনটি আবিষ্কার সভ্যতাকে আমূল পরিবর্তন করেছে। এগুলো হলো- আগুন, চাকা ও বিদ্যুৎ। পরবর্তীতে মানুষের কল্যাণে আবিষ্কারের মধ্যে বিভিন্ন রোগনির্ণয় যন্ত্র, প্রতিষেধক, মহাকাশ গবেষণা যন্ত্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইথার ব্যবহারের উন্নত যন্ত্রপাতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যোগাযোগ ও তথ্য সংগ্রহের ব্যবহারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ইন্টারনেট প্রযুক্তি।
ইন্টারনেট
বস্তুত ইন্টারনেট কোনো একক বিষয় নয়। অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বলে ইন্টারনেট। ইংরেজিতে একে Inter Networking বা World Wide Electronic Network বলে। ব্যক্তিগত অথবা প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। যোগাযোগক্ষেত্রে ইন্টারনেট এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সূচনা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ১৯৬৯ সালে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে। পারমাণবিক আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে তারা এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। শুধু ৪টি কম্পিউটারের সাহায্যে টেলিফোনের বিকল্প হিসেবে এ ধরনের পদ্ধতি চালু হয়। ‘ডাৰ্পানেট’ নামে পেন্টাগনের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা তিন বছরে ‘অর্পানেট’ নাম ধারণ করে। তখন কম্পিউটারের সংখ্যা ৪টি থেকে বেড়ে ৩৩টিতে উন্নীত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন জনসাধারণের যোগাযোগ সুবিধা দানে ‘নেস্টেনেট’ নামক একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করে। গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ‘নেস্টেনেট’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘ইন্টারনেট’ নাম ধারণ করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ মিলিয়ন কম্পিউটার ব্যবহারকারী আছে। এই সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। (ইন্টারনেট রচনা)
ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়মনীতি
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি আছে। এই নিয়মনীতিকে বলে ‘ইন্টারনেট প্রটোকল’। দুই বা তার চেয়ে বেশি কম্পিউটারের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রটোকল না থাকলে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান বা পারস্পরিক যোগাযোগ সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম প্রটোকল লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে TCP (Transmission Control Protocol) বা IP (Internet Protocol) সবচেয়ে দক্ষ ও পুরনো প্রটোকল । অনেক বড় আকারের ফাইলও এর মাধ্যমে অতি সহজে আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটের নিয়মাবলি ও কর্মকাণ্ড সুসম্পন্নের জন্য তিনটি প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এগুলো হচ্ছে-Internet Network Information Centre (NIC) : এটি ডোমেইন নাম (G.V.) রেজিস্ট্রারের কাজ করে।
Internet Society : এটি ইন্টারনেটের প্রকৌশল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে।
World Wide Web Consortium : এটি ভবিষ্যতে ওয়েবের প্রোগ্রামিং ভাষা নির্ধারণের কাজ করে। ইন্টারনেট সংযুক্তির উপায় : ইন্টারনেটে দুটি পদ্ধতিতে কম্পিউটারকে সংযুক্ত করা হয়। একটি Fi On Line Service-এর মাধ্যমে সরাসরি, অন্যটি Fi Off Line Service-এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে। অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে যেকোনো একটি নেটওয়ার্কের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যখন-তখন ইন্টারনেট সুবিধা লাভ করা যায়। অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে Internet Access সুবিধা পাওয়া যায়। এতে ইন্টারনেটের সবধরনের সুবিধা পেতে যেসব software tools প্রয়োজন তার uptodate এবং upgraded version-এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। এতে তুলনামূলকভাবে সময় বেশি লাগে। সাধারণত ৩ ধরনের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত হয়ে থাকে। এগুলো হলো- Fi LAN (Local Area Network), Fi MAN (Metropolitan Area Network) এবং FI WAN (Wide Area Network)। প্রথমটি এক কিলোমিটারের মধ্যে, দ্বিতীয়টি কয়েক কিলোমিটারব্যাপী এবং তৃতীয়টি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ করে। (ইন্টারনেট রচনা)
ইন্টারনেট ব্যবহার পদ্ধতি
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার, মডেম, টেলিফোন লাইন এবং ইন্টারনেট প্রোভাইডার- এই • জিনিস দরকার। প্রথমে কম্পিউটারে তথ্যাদি টাইপ করে এর মেমোরিতে রাখতে হয়। পরে সুবিধামতো নেটওয়ার্কিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। মডেম (Modulator) হচ্ছে একধরনের ডিভাইস। এটি সাধারণত টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে তথ্যাদি প্রেরণ উপযোগী করতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের তথ্যাদিকে ডিজিটাল থেকে এনালগ এবং | এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করে। টেলিফোন লাইন তথ্যাদি স্থানান্তরের কাজে সহায়তা করে। এটি ছাড়া ইন্টারনেটের প্রোভাইডার মূলত ব্যবহৃত সময়ের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট একটি চার্জ নিয়ে তাদের নিজস্ব শক্তিশালী কম্পিউটার ফাইবার অপটিকসের কোনো প্রক্রিয়াই সম্ভব নয়। কারণ এর লাইনের স্পিডের ওপর তথ্যাদি দ্রুত স্থানান্তরিত হওয়া নির্ভর করে। ইন্টারনেট সার্ভিস। মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অন্য ইন্টারনেট সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। (ইন্টারনেট রচনা)
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার
বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। শুরুর দিকে এটির অফলাইনের মাধ্যমে। যোগাযোগ শুরু হয়। ফলে তথ্যের বিশাল জগতের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার সম্ভব হচ্ছিল না। এতে কেবল তথ্য ডাউনলো | আপলোড করা সম্ভব হতো। এর মাধ্যমে কেবল ই-মেইল সার্ভিসের সুবিধা পাওয়া যেত। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ISN ● (Information Service Network) নামের একটি ফার্ম একটি সার্ভার স্থাপন করে অনলাইন ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া শুরু করে। সেসময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল এক হাজারের কিছু বেশি। ২০০১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৬০ হাজারে। বর্তমানে প্রায়। ৫০ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠান অনলাইন সংযোগের কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এদেশেও ইন্টারনেটের ব্যাপক চাহিদা ও ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। (ইন্টারনেট রচনা)
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
ইন্টারনেট হলো কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্কিং সুবিধা, যা সারাবিশ্বে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপনের পথ সহজ করে দিয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় বলে মানুষ তথ্যগত ব্যাপক সুবিধা লাভ করছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কৃষি-উৎপাদন, জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা, বিনোদন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ অবারিত হচ্ছে। ইন্টারনেটের সাহায্যে মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনা বিশ্ববাসী জানতে পারছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ অনলাইনে বই পড়ার সুযোগ লাভ করছে। এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীরা চ্চতর ডিগ্রি লাভ করছে। নিম্নলিখিত উপায়গুলোর মাধ্যমে মানুষ সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে।
- www (World Wide Web) : এর মাধ্যমে একই সময়ে চিত্র ও শব্দ সহকারে তথ্য পাওয়া যায়। এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। 2. E-mail (Electronic Mail) : এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পৃথিবীর যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সাথে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। 3. FTP Session (File Transfer Protocol) : এটির মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান করা যায়।
- Telernet (Telephone Network) : এটির সাহায্যে একটি কম্পিউটারে যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয় তা ব্যবহার করা যায়।
- Net News : এ Protocol-এর মাধ্যমে অতি সহজে News group গুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সাংবাদিকরা এ ইন্টারনেটের মূল ব্যবহারকারী।
- IRC (Internet Relay Chat) : এটির মাধ্যমে অসংখ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী একই সাথে নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়, কথা বলা, আলাপ আলোচনা করতে পারে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের ভেতরে মানবিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বলয় তৈরিকে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বলে । সরাসরি যোগাযোগ ও মতবিনিময়কে আরও নিবিড় করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল সামাজিক নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের সীমানা ক্রমশ বেড়ে চলছে। ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কের সাইটগুলো এই সম্পর্ক একই সঙ্গে সহজ ও নিবিড় করে তুলছে। সবার সাথে সবার তথ্য ও সুখ-দুঃখ শেয়ার করছে। এসব সামাজিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ‘ফেসবুক’ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক।
এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ইন্টারনেট মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির অপার সমুদ্রে অবগাহন করার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ক্ষুদ্র & দরিদ্র জনবহুল দেশ হয়েও তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ পিছয়ে নেই। বিশ্বের বড় বড় দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশটি প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। (ইন্টারনেট রচনা)
ইন্টারনেট ব্যবহারের নেতিবাচক দিক
ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষকে যেমন সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে, তেমনি কিছু অসুবিধারও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত আসে এমন তথ্য দিয়ে জাতিবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা উস্কে সৃষ্টি করেছে। ফলে সমাজে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা দিচ্ছে। নানা রকম মিথ্যা, ভুয়া সংবাদ প্রেরণ করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা রকম মিথ্যা নোট, তথ্য ইত্যাদি সরবরাহ করে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এছাড়া মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চরিত্র হরণের মতো নানা রকম বিষয়ের অবতারণা করছে। ফলে পর্নোগ্রাফি, জুয়া, ব্ল্যাকমেইলিং ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেটে ভাইরাস ছেড়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার নষ্ট করে দিচ্ছে। ঘরে বসে বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণের মতো কাজও কেউ কেউ ইন্টারনেটের সাহায্যে করছে। এগুলো আমাদের জন্য অভিশাপ ডেকে আনছে। এক্ষেত্রে ধযুক্তির কোনো অপরাধ নেই। অপরাধ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর। কাজেই যেকোনো প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার উপকারিতা নির্ভর করে। এর ইতিবাচক ব্যবহারের ওপর। ইন্টারনেট সেই অর্থে ব্যবহৃত হলে মানুষের কল্যাণের পথ আরও সুগম হবে। (ইন্টারনেট রচনা)
উপসংহার
আধুনিক জীবন ও বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে ইন্টারনেট মানুষের জন্য যে বিস্ময় বয়ে এনেছে তা থেকেই বয়ে আনতে হবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। যে দেশে কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে সে দেশের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করেই তার প্রয়োগক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই খুঁজে পেতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সর্বোচ্চ উপকারী দিক। আর পরিহার করতে হবে সাইবার অপরাধের মতো সমস্ত অপকৌশল ও অপব্যবহার। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ ও প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। নৈতিক অবক্ষয় সাধিত হয় এমন সব কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করতে হবে। এক কথায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে মানুষের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ বা খেয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। (ইন্টারনেট রচনা)
আশা করি আপনাদের ইন্টারনেট রচনা ভালো লেগেছে।
আরও পড়ুন,
3 Comments